এই জনপ্রিয় পটকাহিনী রামায়ণ থেকে গৃহীত। এর মাধ্যমে সীতাহরণ বর্ণিত হচ্ছে। পিতার অনুরোধ রক্ষার্থে রামচন্দ্র সীতা ও লক্ষ্মণের সাথে গৃহত্যাগ করে বনবাসে গেলেন। রাম মায়ামৃগ বধ করলেন। রাবণ সীতাকে হরণ করলেন।
বিবাহ হলেন রামচন্দ্র হলেন অধিবাস
পিতার শর্ত পালিতে রাম যান বনবাস
আগে চলে রামচন্দ্র পশ্চাতে জানকি
তাহার পশ্চাতে চলে লক্ষ্মণ ধনটি
উপরে রবির তাপ গো নীচে তাতা বালি
আর চলিতে না পারে সীতা ননীর পুতলি
ভাইঙা তরুর ডাল গো লক্ষ্মণ ধরে শিরে
এর অবছায়ায় লক্ষ্মী চল ধিরে ধিরে
পঞ্চবটির বনেতে রাম তুলিল হাভালি
আর রাম সীতা রইছেন বসে লক্ষ্মণ প্রহরী
সুর্পনখা এলো একদিন পঞ্চবটির বনে
নাক কান কাটিল তাহার ঠাকুর লক্ষ্মণে
নাক হাতে করে নারী লঙ্কায় চলে যায়
আছাড় খেয়ে পড়ল গিয়ে রাবণ ভায়ের পায়ে
বুদ্ধে রাজা দশানন গো কি না বুদ্ধি কইল
ভগ্নীর দুর্দশা দেখে সর্বাঙ্গ জ্বলিল
সর্বাঙ্গ জ্বলিল রাজা অগ্নিসম গায়
আবার মারীচকে ডাকিয়া রাবণ মৃগ যে সাজায়
অতি ছন্দে নাচে মৃগ দেখিতে সুন্দর
আশ্রয় হতে চন্দ্রমুখি বলছেন রঘুবর
আশ্রয় হতে চন্দ্রমুখি বিনয় করে বলে
মৃগ ধরে দাও গো প্রভু সুখি কর মোরে
ঠাকুর গেল লক্ষ্মণ গেল না সয় পরানে
মৃগ ধরতে গেলাম আমি সীতার বচনে
মার মার ধর ধর বলি রামচন্দ্র তারে নিয়ে যায়
আর সোনারই ভ্রমরা হরিণ উড়িয়া পলায়
কিছুদূর গিয়ে রামচন্দ্র মারীচ বধিল
মায়ামারীচ করুণ সুরে ডাকিতে লাগিল।
সেই আর্তনাদ দেখ সীতার কানে এলো
আর লক্ষ্মণ লক্ষ্মণ বলি সীতা ডাকিতে লাগিল
কোথায় আছ দেওর লক্ষ্মণ তাম্বুল ধর খাবে
তোমার দাদার বিপদ হয়েছে দণ্ডিক বনে যাবে
বলে দাদা রেখে গেল লক্ষ্মী তোমায় দেখিবারে
তুমি আবার যেতে বল দাদায় দেখিবারে
জানলাম ও গো দেওর লক্ষ্মণ জানলাম তোমার মতি
রামচন্দ্র মরিলে হবে রে জানো কি সঙ্গতি
বিষ্ণু বিষ্ণু বলে লক্ষণ মাথায় দিলো হাত
তুমি মাতা সুমিত্রা গো পিতার রঘুনাথ
ভিক্ষা যে পাইয়া যোগী হুঙ্কার ছাড়িলো
হাতে ধরিয়া সীতায় রথে তুলে নিলো
রাবণের রথ লয়ে যায় লঙ্কাপুরে
হেনকালে জটায়ু পাখি দেখিবার পায়
রাবণের রথকে জটায়ু আড়ে গিলে গেল
রাবণের সঙ্গে জটায়ু যুদ্ধ আরম্ভিল
ব্রহ্মশরে শিয়রের বাণ ওই রাবণ মারিল
কাটা দশে যায় গেল এ জটায়ু পড়িল
আমায় বধে লয়ে গেল রাম তোমার ঘরণী
সীতারে উদ্ধার কর রাম রঘুমণি
চণ্ডিপুর থানায় আমার পুর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘর
এই সীতাহরণের গান শুনাই আমি শুভ চিত্রকর।