পটের ধরণ

জড়ানো পটে ছবি এঁকে ছবি ও গানের মাধ্যমে গল্প বলা – এইটিই বাংলার পটচিত্রের বৈশিষ্ট। একটিই জড়ানো পটে একাধিক অংশে ভাগ করে প্রতিটি অংশ বা ফ্রেমে আঁকা হয় একটি কাহিনী। পটের ক্ষেত্র বা ক্যানভাস বিভিন্ন আয়তনের হতে পারে। চওড়ায় তা হতে পারে এক থেকে দেড় ফুট, লম্বায় তা হতে পারে তিন থেকে পঁচিশ ফুট অবধি। এই আয়তন নির্ভর করছে পটে বর্ণিত কাহিনীর ওপর। ছবিগুলি সাধারণত উল্লম্ব (ভার্টিকাল) ভাবে আঁকা হয় এবং একটি পটে দশ থেকে পনেরটি ফ্রেম থাকে। আবার আরেক ধরণের পটচিত্রে ছবিগুলি আঁকা হয় আনুভূমিক (হরাইজণ্টাল) ভাবে। সেই ক্ষেত্রে এক একটি লাইনে তিন থেকে ছয়টি ফ্রেম সচরাচর থেকে থাকে। তবে, পটুয়ারা অনেক ক্ষেত্রে একক ফ্রেমের ভিত্তিতে চৌকো আকারের পটেও ছবি আঁকা হয়। সেই ধরণের পটে কোনো দেবদেবী অথবা এককভাবে কোনো পৌরাণিক বা সামাজিক ঘটনা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।